শনিবার, নভেম্বর ১, ২০২৫
Home অপরাধমাদারগঞ্জের ৩ জন যুবককে ভারতে পাচার

মাদারগঞ্জের ৩ জন যুবককে ভারতে পাচার

by দৈনিক নিকতি
০ comments

মাদারগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি:
জামালপুরের মাদারগঞ্জের ৩ যুবককে দক্ষিণ-আফ্রিকার বদলে ভারতে পাচারের অভিযোগ উঠেছে দালাল জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীরা মাদারগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের জুনাইল পক্ষিমারী এলাকায় ৩ যুবকের বাড়ীতে গেলে স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ ভারি হয়ে উঠে। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে গত ২০২১ সালে স্থানীয় দালাল সাউথ-আফ্রিকা প্রবাসী জাহাঙ্গীর এর মাধ্যমে সাউথ-আফ্রিকায় যাওয়ার জন্য বাড়ী থেকে বের হয় ৩ যুবক। তারা হলেন জুনাইল পক্ষিমারী এলাকায় সোনা মিয়া’র ছেলে মেহেদী হাসান (২২), জয়নাল মিয়ার ছেলে মমিন (২১) ও রেজাউল এর ছেলে শাওন (২০)। পরিবার থেকে অভিযোগ উঠেছে সাউথ আফ্রিকার কথা বলে মেহেদী,মমিন ও শাওন কে ভারতে পাচার করে দালাল চক্র। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ৪ বছর যাবৎ ভারতের লখনৌ সেন্ট্রাল জেলে আটক রয়েছে তারা। ৩ যুবকের পক্ষে অভিভাবক রেজাউল করিম বাদী হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী দালাল জাহাঙ্গীর (৩৫) সহ ৪ জন কে আসামী করে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ জামালপুর এ মানব পাচার এর মামলা করা হয় যার মোকাদ্দমা নং ০১। তিন যুবকের বাবা সোনা মিয়া,জয়নাল ও রেজাউল জানান সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী স্থানীয় দালাল জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে বিদেশ রয়েছে তার কথা মত জনপ্রতি ৮ লাখ করে মোট ২৪ লাখ টাকা তার বাড়ীর লোকজনের হাতে তুলে দেই। তাদের সাউথ আফ্রিকা না পাঠিয়ে ভারতে পাচার করে দালালরা। ২০২২ সালে আমরা সংবাদ পাই ভারতের লখনৌ সেন্ট্রাল জেলে আটক রয়েছে তারা। আমরা বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করে দেখতে যাই এবং তাদের চেহারা,স্বাস্থ্য’র করুন অবস্থা দেখে আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। জেলা এবং ঢাকা পর্যায়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন দিয়েও এবং যোগাযোগের পরও তাদের ফেরত না পেয়ে উৎকন্ঠায় জীবন পার করছি আমরা। এ ব্যাপারে জামালপুরের মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম জানান আমরা জানতে পেরেছি যে, মাদারগঞ্জের তিনজন কিশোর ভারতের কারাগারে আটক অবস্থায় আছে। আমরা বারবার শিশু ও নারী মানব পাচারের ব্যাপারটা প্রতিনিয়তই মিটিং করি এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোড লেভেলে এবং তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করার জন্য জিও এনজিওদের নানান ভাবে পরামর্শ বা আহ্বান জানাই। কিন্তু আসলে কথার চাইতে কাজ যে কম হয় এটা স্পষ্ট। মানব পাচার রোধে উপজেলা, জেলা কমিটি আছে এবং মানব পাচার প্রতিরোধ নারী শিশু কমিটি এই কমিটির মিটিং গুলো ঠিকমতো হয় না। যারা পাচারকারী তারা উৎ পেতে থাকে এবং ফাঁদ পাতে প্রলোভন দেখায় লোভনীয় বেতনে কাজের ব্যবস্থা করে দিবে এই সমস্ত দেখিয়ে শিশুদের পাচার করে দেয়। কিডনি, হার্ট এ গুলো বিক্রি করে দেয়।আল্লাহর বিশেষ রহমত তাদের যে অঙ্গহানি করে নাই তারা যে কোনোভাবে হোক আটক হওয়ার পরে কারাগারে আছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ইন্ডিয়ার দূতাবাস আছে দূতাবাসের মাধ্যমে কিশোর অবুঝ তিনজন ছেলেকে যেন অনতিবিলম্বে কারাগার থেকে মুক্ত করে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হয়। সন্তানদের কষ্ট দেখে প্রতিটি পরিবারের স্বজনদের কান্নায় আকাশ ভারি হয়ে উঠে। কিশোরদের দ্রুত মুক্তির দাবি করছি।

You may also like